লন্ডন: ব্রিটেনের একটি পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৫ তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উত্তর ইংল্যান্ডের কামব্রিয়া অঞ্চলের সেলাফিল্ড পরমাণু কেন্দ্র এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা পূর্ব লন্ডন থেকে ৩০০ মাইল গাড়ি চালিয়ে সেলাফিল্ড পরমাণু কেন্দ্রের সামনে থামার পর ছবি তোলার চেষ্টা করলে কেন্দ্রের আঞ্চলিক পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের কামব্রিয়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পাকিস্তানে মার্কিন কমান্ডো বাহিনীর হামলায় আল কায়েদার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেনের নিহত হওয়ার খবরে সারা ব্রিটেনে সর্বোচ্চ সতর্কতা ঘোষণার পর তারা গ্রেপ্তার হলো।
কামব্রিয়া পুলিশের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সোমবার বিকাল ৪টা ৩২ মিনিটে ওয়েষ্ট কামব্রিয়ার সেলাফিল্ড পরমাণু রিপ্রসেসিং কেন্দ্রের কাছে গাড়ি তল্লাসির সময় সন্দেহজনক হিসেবে ৫ তরুণকে গ্রেপ্তার করে পরমাণু কেন্দ্রের আঞ্চলিক পুলিশ। এ সময় পরমাণু কেন্দ্র এলাকার কয়েকটি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে তাদের টেরোরিজম অ্যাক্ট এর ৪১ ধারায় সোমবার সারারাত কার্লাইল পুলিশ কাষ্টডিতে রেখে মঙ্গলবার সকালে ম্যানচেষ্টার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
টেরোরিজম অ্যাক্ট এর ৪১ ধারায় কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ সন্দেহজনক যে কাউকে সার্চ ও গ্রেপ্তার করতে পারে। নর্থ ওয়েষ্ট কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহভাজনদের সম্পর্কে তদন্ত করছে।
৫ তরুণই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বলে জানা গেলেও এদের বিস্তারিত নাম ঠিকানা পুলিশ এখনও প্রকাশ করেনি।
ম্যানচেষ্টার পুলিশের একজন মূখপাত্র জানান, তদন্ত প্রক্রিয়াটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। পাকিস্তানে লাদেনের মৃত্যু ঘটনার সঙ্গে এই ৫ তরুণ গ্রেপ্তারের কোনো যোগসূত্র আছে কি-না তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
এদিকে, সেলাফিল্ড পরমাণু কেন্দ্র এলাকা থেকে গ্রেপ্তারকৃত ৫ বাংলাদেশি তরুণের আবাসস্থল পূর্ব লন্ডনের চারটি বাড়ি তল্লাসি করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা অবৈধভাবে ব্রিটেনে বসবাস করছে কি-না, তাও পরীক্ষা করে দেখছেন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড সূত্রে জানাগেছে, একটি বাড়ি থেকে সন্দেহজনক একটি কন্টেইনার উদ্ধার করলেও প্রাথমিক পরীক্ষায় এর ভেতরে কোনো বিষ্ফোরক পাওয়া যায়নি। তবে আরো পরীক্ষার জন্যে এটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ক্যাসেটসহ একটি ভিডিও ক্যামেরাও জব্দ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এই ক্যামেরা দিয়েই সন্দেহভাজনরা পরমানু কেন্দ্রের ছবি তুলছিল।
পরমানু কেন্দ্রের নিরাপত্বা বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে মার্কিন বাহিনীর হাতে উসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ব্রিটেনে সর্বোচ্চ সতর্কতা ঘোষণা করে।
এই গ্রেফতারের ঘটনায় ব্রিটেনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বড় ধরনের কোনো সভা সমাবেশ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ব্রিটেনবাসীকে।
একটি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৮ মে পূর্ব লন্ডনের বাংলাটাউনে আয়োজিত বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠানের নিরাপত্বা ব্যবস্থাও আরও জোড়দারের পরিকল্পনা করছে লন্ডন পুলিশ। বিগত কয়েক বছর ধরে বৈশাখী মেলা ব্রিটেনের সর্ববৃহত মেলাগুলোর অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১১
Link to Article
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Popular Posts
-
Link to Article মঈনুদ্দিনের বিচার দাবিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলীপী
-
বৌদ্ধদের উপর হামলার প্রতিবাদে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ বক্তব্য রাখছেন একজন ভিক্ষু বক্তব্য রাখছেন বৌদ্ধিষ্...
-
Amnesty for probe into Sylhet deaths London Correspondent banglanews24.com DHAKA: Amnesty International demanded investigation in...
-
UK court awards 9 men, including 6 Bangladeshis Syed Anas Pasha, London Correspondent banglanews24.com LONDON: A British Court award...
-
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম লন্ডন: যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন জামায়াতের মদদপুষ্ট হেফাজতি ভোটের কথ...
-
Syed Anas pasha, London Correspondent banglanews24.com LONDON: Senior vice-chairman of BNP Tarrique Rahaman asserted that the next ...
-
3 British journos due Apr 7 Gilligan keen to visit banglanews Syed Anas Pasha, London Correspondent banglanews24.com LONDON: Th...
-
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম লন্ডন: মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের...
-
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ছবি: মনিরুজ্জামান সামি লন্ডন: বাংলাদেশের ‘মা ও শিশু’র স্বাস্থ্য সেবা ...
-
২০১০ সালের জুনে লন্ডন সফরকালে হোটেল স্যুটে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সাথে লেখকের পুরো পরিবার সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপ...

0 comments:
Post a comment