লন্ডন: গত সোমবার গ্রেপ্তারকৃত ৫ বাংলাদেশি তরুণকে কোন অভিযোগ ছাড়াই ছেড়ে দিয়েছে ব্রিটিশ পুলিশ। ব্রিটেনের একটি পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
নর্থ ওয়েস্ট কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন মুখপাত্র জানান, বুধবার কোন অভিযোগ ছাড়াই ৫ তরুণকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এরআগে গত সোম ও মঙ্গলবার দুই রাত কাস্টডিতে রেখে কাউন্টার টেরোরিজমের গোয়েন্দারা তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
সোমবার বিকেল ৪টা ৩২ মিনিটে উত্তর ইংল্যান্ডের কামব্রিয়া অঞ্চলের সেলাফিল্ড পরমাণু কেন্দ্র এলাকা থেকে ওই ৫ বাংলাদেশি তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে পরমাণু কেন্দ্রের নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ২০-এর কোটার বয়সী গ্রেপ্তারকৃতরা পূর্ব লন্ডন থেকে ৩০০ মাইল গাড়ি চালিয়ে সেলাফিল্ড পরমাণু কেন্দ্রের সামনে গিয়ে থামার পর ছবি তোলার দায়ে কেন্দ্রের আঞ্চলিক পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে কামব্রিয়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
পুলিশ তাদের সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী হিসেবে গ্রেপ্তার করলেও তাদের আত্মীয়-স্বজন এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
অণুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ৫ তরুণ ২০০৬ সাল থেকে লন্ডনে পড়াশোনা করছে। এদের মধ্যে ২জন মুসলমান ও অপর ৩জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা বেড়ানোর উদ্দেশ্যে ক্যামব্রিয়া লেক ডিস্টিক্ট যাচ্ছিল।
পথিমধ্যে যাত্রা বিরতিতে সেলাফিল্ড পরমাণু কেন্দ্রের ছবি তোলে এবং পূর্ব লন্ডনে বাসায় অবস্থানরত আত্মীয়দের উদ্দেশ্যে ফেসবুকে তা প্রচার করে।
বুধবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে আবু নাঈম, সাইফুদ্দিন ফয়সল, হায়দার হোসেইন, মোহন কর, রাজিব রায় ও পার্থ প্রতীমকে।
সোমবার সকালে গ্রেটার লন্ডনের ইলফোর্ডের একটি বাসা থেকে তারা ক্যামব্রিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। বিকেল সাড়ে চারটার পর বাসা থেকে ফোন করে ৫ জনের কারো কোন সাড়া না পেয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের আত্মীয়-স্বজন স্থানীয় পুলিশের স্মরণাপন্ন হন।
এরই মধ্যে প্রচার মাধ্যমে কামব্রিয়ায় ৫ তরুণের গ্রেপ্তারের খবর প্রচারিত হলে তাদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারেন এরাই তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পরিজন।
আটককৃত সাইফুদ্দিন ফয়সলের বোন কানিজ ফািতমা জানান, আমরা কল্পনাও করিনি যে, আমার ভাই ও তার বন্ধুদের এভাবে টেরোরিস্ট হিসেবে গ্রেপ্তার করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও ব্রিটিশ পুলিশ সন্ত্রাসী সন্দেহে গ্রেপ্তার করে পরবর্তীতে কোন অভিযোগ ছাড়াই মুক্তি দেওয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে।
সর্বশেষ ৫ বাংলাদেশি তরুণের বেলায়ও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো। টোরোরিজম অ্যাক্টের ৪১ ধারার ‘স্টপ অ্যান্ড সার্চ’ নিয়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন সমালোচনা করে আসছিল।
এই ধারায় দেওয়া ক্ষমতা বলেই বিভিন্ন সময় নিরাপরাধ ব্যক্তিদের পুলিশ স্টপ অ্যান্ড সার্চ করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মূলত: মুসলমান কমিউনিটির তরুণরাই এই ধরণের হয়রানির শিকার হন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০১ ঘন্টা, মে ০৫, ২০১১
Link to article
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Popular Posts
-
Link to Article মঈনুদ্দিনের বিচার দাবিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলীপী
-
বৌদ্ধদের উপর হামলার প্রতিবাদে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ বক্তব্য রাখছেন একজন ভিক্ষু বক্তব্য রাখছেন বৌদ্ধিষ্...
-
UK court awards 9 men, including 6 Bangladeshis Syed Anas Pasha, London Correspondent banglanews24.com LONDON: A British Court award...
-
Amnesty for probe into Sylhet deaths London Correspondent banglanews24.com DHAKA: Amnesty International demanded investigation in...
-
Syed Anas pasha, London Correspondent banglanews24.com LONDON: Senior vice-chairman of BNP Tarrique Rahaman asserted that the next ...
-
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম লন্ডন: যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন জামায়াতের মদদপুষ্ট হেফাজতি ভোটের কথ...
-
3 British journos due Apr 7 Gilligan keen to visit banglanews Syed Anas Pasha, London Correspondent banglanews24.com LONDON: Th...
-
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম লন্ডন: মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের...
-
২০১০ সালের জুনে লন্ডন সফরকালে হোটেল স্যুটে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সাথে লেখকের পুরো পরিবার সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপ...
-
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ছবি: মনিরুজ্জামান সামি লন্ডন: বাংলাদেশের ‘মা ও শিশু’র স্বাস্থ্য সেবা ...

0 comments:
Post a Comment